[english_date]।[bangla_date]।[bangla_day]

আইন অমান্য করে অ-গভীর মটর স্থাপনের অনুমতি, তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্টদের হস্তক্ষেপ কামনা ভুক্তভোগিদের।

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

কোটচাঁদপুর(ঝিনাইদহ)প্রতিনিধিঃ
আইন অমান্য করে অ-গভীর মটর স্থাপনের অনুমতি দেয়ায় পৃথক ৪ দপ্তরে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগিরা। বিএডিসি’র কোটচাঁদপুর ইউনিটের উপসহকারি প্রকৌশলী আব্দুল আল মামুনের বিরুদ্ধে তাদের এ অভিযোগ। বিষয়টি তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্টদের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন তারা।

ভুক্তভোগি সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল মতিন জানান,কোটচাঁদপুর উপজেলার ফুলবাড়ি দক্ষিন পাড়া মাঠে আমার একটা অগভীর মটর রয়েছে। নিয়ম আছে একটা অগভীর মটর থেকে অন্য মটরের দুরত্ব হবে ৮শ গজ। এ ক্ষেত্রে ওই নিয়ম মানা হয়নি। বিএডিসি’র,কোটচাঁদপুর ইউনিটের উপসহকারি প্রকৌশলী আব্দুল আল মামুন ৮শ গজের মধ্যে আরেকটি মটর স্থাপনের অনুমতি দিয়েছেন ওই গ্রামের জসিম উদ্দিন নামের এক চাষির।
তিনি বলেন,এতে করে পরিবেশের যেমন ভারসাম্য নস্ট হবে। অন্যদিকে চির শত্রুতার সৃষ্টি হবে। এমনকি রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষও বাধতে পারে। এ কারনে ওই মটর বন্ধের জন্য কোটচাঁদপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা,উপজেলা চেয়ারম্যানও ঝিনাইদহ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কোটচাঁদপুর সাব-জোনাল অফিসে পৃথক অভিযোগ করা হয়েছে। এরপরও ওই মটরের বিদ্যুৎ সংযোগ সহ মটর চালুর অনুমতি দিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। বিষয়টি তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহনের দাবি জানিয়েছেন।
এদিকে ওই মটর সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে কোটচাঁদপুর থানায় পৃথক অভিযোগ করেছেন ফরিদা ইয়াসমিন। তিনি বলেন,তাঁর জমির উপর দিয়ে জোর পূর্বক বিদুৎতের পোল বসানো হয়েছে। এতে করে জমির বেশ ক্ষতি সাধিত হয়েছে। তবে এ ব্যাপারেও কোন ব্যবস্থা না নেওয়ায় হতাশ হয়েছে ওই ভুক্তভোগি।
এ ব্যাপারে বিএডিসি কোটচাঁদপুর ইউনিটের উপসহকারি প্রকৌশলী আব্দুল আল মামুন বলেন,আমি লাইসেন্স দেয়ার মালিক না। লাইসেন্স দিয়ে থাকেন সেচ কমিটির সভাপতি। আমি কাগজপত্র তৈরি করে সাবমিট করে থাকি। আর আমার উপর পুরো ঝিনাইদহের দায়িত্ব রয়েছে।
এ কারনে আমি সব কিছু দেখে পারিনি না। অফিস সহায়ক আছেন,উনি তদন্ত কওে রিপোর্ট দেন। আর আমি ওই গুলো স্বাক্ষর করে সেচ কমিটিতে উত্থাপন করে থাকি। আমার বিরুদ্ধে যে অনিয়মের অভিযোগ করা হয়েছে,সেটা সঠিক না।
এ দিকে ওই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ওই ধরনের একাধিক অভিযোগ রয়েছে। বিষয়টি নিয়ে অনেকে সেচ কমিটির সভাপতি উপজেলা নির্বাহী বরাবর আবেদনও করেছেন। তবে কোন ফল না পেয়ে হতাশ হয়েছেন ওই সমস্ত চাষিরা।
বিষয়টি নিয়ে কোটচাঁদপুর উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা ও সেচ কমিটির সভাপতি মোঃ দেলোয়ার হোসেন জানান, আজ সেচ কমিটির সভা ছিল। সভায় ওনাকে সব কিছু ঠিকঠাক করতে বলা হয়েছে। এরপরও যদি কোন অভিযোগ থাকে,তাহলে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এই পোস্টটি আপনার সামাজিক মিডিয়াতে সেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও খবর

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *